নিজস্ব প্রতিবেদক: বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লাগেজ, ট্রাভেল ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক উৎপাদন কাজের জন্য দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ছয়তলাবিশিষ্ট দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। মোট ৭৫ হাজার ৬০০ বর্গফুটের এ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ১২ হাজার ৬০০ বর্গফুট। এছাড়া জানা গেছে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এ ভবনটিতে রফতানির জন্য লাগেজ, ট্রাভেল ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক উৎপাদন করবে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৮ শেয়ার মোট এক হাজার ৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৩ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৬৫ পয়সা ও ১২ টাকা ৭৯ পয়সা। আলোচিত সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে আট কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২২ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির আট কোটি ৪৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২৮ দশমিক ৪২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৬ দশমিক ৪৩।