শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানির স্থান দখল করেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গত বৃহস্পতিবার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এখন দৃষ্টি দ্বিতীয় ট্রিলিয়ন ডলারের এগিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান তার ওপর। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান আমাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিউইয়র্কে আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ২০৭ ডলারের ওপরে উঠলে এর বাজার মূলধন এ মাইলফলক স্পর্শ করে। জুন প্রান্তিকে প্রত্যাশিত মূল্যের চেয়ে গত মঙ্গলবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। ১৯৮০ সালে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো অ্যাপলের শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ হাজার শতাংশ।
প্রসঙ্গত, অ্যাপল বা অ্যাপল ইনকরপোরেটেড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের তৈরি ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে বেশি পরিচিতি লাভ করে। আধুনিক কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে আইম্যাক, ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো ও দ্য ম্যাকবুক। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম আইওএসের মাধ্যমে তৈরি করে আইফোন, আইপ্যাড ও আইপড।
যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক কোম্পানির মধ্যে বাজারমূল্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ৮৮৯ বিলিয়ন ডলার। প্রতিযোগিতায় তার পরে রয়েছে গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ও সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠান দুটির বাজারমূল্য যথাক্রমে ৮৫৬ বিলিয়ন ডলার ও ৮৩০ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে অ্যালফাবেটের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ শতাংশ। চলতি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এছাড়া বাজারমূল্যে পঞ্চম বৃহত্তম কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এর বাজারমূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তবে সম্প্রতি বাড়ছে আমাজনেরও শেয়ারদর। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে অ্যাপলের চেয়ে বেশি। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ই-কমার্স মার্কিন প্রতিষ্ঠান আমাজনের মুনাফা প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। অনলাইনে বিক্রি বৃদ্ধি ও ক্লাউড সেবার চাহিদা বাড়ায় মুনাফায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। রেকর্ড মুনাফার এ খবরে আমাজনের শেয়ারদরও রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। আমাজনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ব্রেইন ওসাভাসকি জানান, এটি ছিল একটি শক্তিশালী প্রান্তিক। আগামী প্রান্তিকেও মুনাফার প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন সেবা ছাড়াও আমজনের ক্লাউড সেবার চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ খাতে বিক্রি হয়েছে ছয় দশমিক এক বিলিয়ন ডলার। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এটি ৫০ শতাংশ বেশি। এছাড়া বিজ্ঞাপন থেকে আকর্ষণীয় আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্য খাতে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তাই দ্বিতীয় ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানির তালিকায় আমাজনকেই এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা।