Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 4:52 am

দ্বিতীয় পরীক্ষায় সফল ফেসবুক ড্রোন

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রান্তিক অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে মনুষ্যবিহীন উড়–ক্কু যান (ড্রোন) নিয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুক। প্রথমবারের মতো এবার আর এ ড্রোন দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। খবর রয়টার্স।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির পরিকল্পনা হচ্ছে কতগুলো সৌরচালিত ড্রোন বানানো যেগুলো কয়েক মাস ধরে উড়বে ও লেজারের মাধ্যমে নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এর মাধ্যমে ড্রোনগুলো ওই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেবে।

এক ব্লগপোস্টে ফেইসবুকের অ্যারোনটিক্যাল প্লাটফর্ম পরিচালক মার্টিন লুইজ গোমেজ বলেন, চলতি বছর ২২ মে দ্বিতীয় পরীক্ষাটি চালানো হয়। এবার ড্রোনটি অ্যারিজোনায় ইউমার কাছাকাছি ল্যান্ড করার আগে এক ঘণ্টা ৪৬ মিনিট উড়তে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে শুধু ‘অল্প কিছু ছোট, ওই সহজেই মেরামতযোগ্য ত্রুটি ছিল’ বলে দাবি গোমেজের। ফেসবুক প্রকৌশলীরা ড্রোনটির ল্যান্ড করা সহজ করতে পাখায় ‘স্পয়লার’ যুক্ত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ দিকে এ ড্রোন নিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘এর আগে কেউ কখনও এমন মনুষ্যবিহীন ড্রোন বানাতে পারেনি, যা একটানা কয়েক মাস ধরে উড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক বা প্রায় চারশ কোটি মানুষ ইন্টারনেট অ্যাকসেস করতে পারছেন না। এ প্রক্রিয়া তা বদলাতে সহায়তা করবে।’

২০১৬ সালের ২৮ জুন সফলভাবে নিজেদের প্রথম সৌরচালিত মনুষ্যবিহীন ড্রোন উড়ায় ফেসবুক। সে বছর ২১ জুলাই ফেসবুকে ওই পোস্টের মাধ্যমে ‘অ্যাকুইলা’ নামের নতুন ড্রোন উড্ডয়ন সাফল্য বর্ণনা করেন জাকারবার্গ। এ উড়োজাহাজ সৌরশক্তিতে চলে এবং এটি মনুষ্যবিহীন ড্রোনগুলোর সর্বোচ্চ ভ্রমণের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। জাকারবার্গ বলেন, অ্যারিজোনার ইউমা এলাকায় সন্ধ্যার আগে ড্রোন যাত্রা শুরু হয়। আমাদের মূল অভিযান ছিল প্লেনটিকে আধাঘণ্টা উড়ানো, কিন্তু সব কিছু এত ঠিকঠাকভাবে ছিল যে, আমরা একে ৯৬ মিনিট ওপরে রাখার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আমাদের মডেল আর এয়ারক্রাফট কাঠামো নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। আর দুই বছর কাজের পর, অ্যাকুইলাকে সত্যিই মাটির উপড়ে উঠতে দেখা ছিল আবেগময়।”

জাকারবার্গ ব্যাখা করেন, তারা যে মাইলফলকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন, আর এজন্য তাদের এখনও অনেক কাজ করতে হবে। তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য এ ড্রোন ৬০ ফুট উড়ানো, এক মাস পর্যন্ত একে ভাসমান রাখা এবং লেজারের সঙ্গে এর যোগাযোগ ঠিক রাখা, যা আগে কখনও হয়নি।

কিন্তু উড্ডয়ন ‘সফল’ বলে দাবি করলেও প্রথম ড্রোনটি মরুভূমিতে ক্র্যাশ ল্যান্ড করে। সে বছর নভেম্বরে এ দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তে নামে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)।