শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা বেশ খানিকটা কমে গেছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে চার শতাংশ কমে গিয়ে স্বর্ণের চাহিদা ছিল প্রায় ৯৬৪ টন। বিশ্ব
বাণিজ্যে স্বর্ণসমর্থিত বিনিময়ের আন্তঃপ্রবাহ কমে যাওয়া এর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে বিশ্ব স্বর্ণ সংস্থা জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহার কমেছে, যা ২০০৯ সালের পর চলতি বছরের প্রথমার্ধে স্বর্ণের চাহিদা সবচেয়ে কম থাকার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে চাহিদা কমা সত্ত্বেও বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের গহনার চাহিদা অপরিবর্তিত রয়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে গহনার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা ছিল এক হাজার ৩১ টন। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণবার ও মুদ্রার চাহিদা প্রায় অপরিবর্তিত থেকে ২৪৮ টনে দাঁড়ায়।
এদিকে স্মার্টফোন, গেমস কনসোল এবং গাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজে স্বর্ণের ব্যবহার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রযুক্তি খাতে স্বর্ণের চাহিদা দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ টনে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে এ
খাতে টানা সাত বছর স্বর্ণের ব্যবহারে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হলো।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের বাজার চীনে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভোক্তাদের স্বর্ণের চাহিদা সাত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে স্বর্ণের গহনার চাহিদা পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৪ দশমিক ৯ টনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কয়েনের চাহিদা প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯ দশমিক পাঁচ টনে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতে স্বর্ণের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। যদিও প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা ছয় শতাংশ কমে গিয়েছিল। কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে ভারত সরকার নানা উদ্যোগ নেওয়ায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের ক্রয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণক্রেতা দেশ।