Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:52 pm

দ্বিতীয় রাউন্ডে রূপগঞ্জের হার

ক্রীড়া ডেস্ক: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারেনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। যে কারণে বৃহস্পতিবার দলটি পেল ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ৮ উইকেটে হারের তিক্ত স্বাদ।

বৃহস্পতিবার দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন ব্রাদার্সের বোলার আলাউদ্দিন বাবু ও মিজানুর রহমান। প্রথমজন করেন হ্যাটট্রিক। দ্বিতীয় জন ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। যে কারণে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রূপগঞ্জের।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে রূপগঞ্জ ১১১ রানে তুলে গুটিয়ে যায়। দলটির হয়ে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ২৮ বলে ৩৮ ও সাব্বির রহমান ১৮ বলে ২৩ রান করেন। জবাব দিতে নেমে মিজানুরের ৫২ বলে ৭৪ রানে ভর করে ১৫.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে ব্রাদার্স।

প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ব্যাট হাতে লড়াই করেন। এদিকে সাব্বির আহমেদ তাকে সঙ্গ দেন। নাঈম করেন ৩৮ রান। এজন্য খেলেন ২৮ বল। এদিকে সাব্বির ফেরেন ২৩ (১৮ বলে) রান করে। অধিনায়ক নাঈম আর সাব্বির ছাড়া আর একজন মাত্র ব্যাটসম্যান দুই অংকে পা রেখেছেন, তিনি উইকেটকিপার জাকের আলি। তার সংগ্রহ ছিল ১২ রান।

ব্রাদার্সের নায়ক আলাউদ্দিন বাবু। নায়ক পেসার আলাউদ্দিন বাবু। অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেছেন এ মিডিয়াম পেসার। ডানহাতি এ পেসার তার তৃতীয় ওভারের পঞ্চম, ষষ্ঠ আর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে যথাক্রমে মুক্তার আলি, সোহাগ গাজী ও নাবিল সামাদের উইকেট নিলে শেষটা বেশি খারাপ হয় রুপগঞ্জের।

আলাউদ্দিন বাবু ২১ রানে ৪ উইকেট নেন। পেসার সুজন হাওলাদার ও বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব নেনদুজনই দুটি করে উইকেট। এছাড়া আরেক পেসার মানিক খান ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ১টি উইকেট।

১১১ রানের পুঁজি নিয়ে বৃহস্পতিবার লড়াইটা ঠিকমতো করতে পারেনি রূপগঞ্জ। এ সুযোগে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ব্রাদার্সের মিজানুর রহমান। এ ওপেনার খেলেছেন ৫২ বলে ৭৪ রানের হার না মানা ইনিংস। তিনটি ছক্কা ও আটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৫৩ রান এনে দেন ব্রাদার্সের অধিনায়ক মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। জুনায়েদ ১৯ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ছন্দ হারাননি মিজানুর। জাহিদউজ্জামানের সাবধানী ব্যাটিংয়ের ফায়দা লুটে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন মিজানুর। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

রূপগঞ্জের হয়ে শহীদ সানজামুল নেন ১টি করে উইকেট।