Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:41 am

দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান মেনে নেবেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন বাইডেন। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় (নেতানিয়াহু) ‘দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান হবে না’ এমন কথা তিনি বলতে চাননি। তার বক্তব্য ভুলভাবে আমাদের সামনে এসেছে। বিশ্বের ইতিহাসে বিভিন্ন ধরনের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান রয়েছে। তা থেকে একটি তাকে গ্রহণ করতে হবে এবং সম্ভবত তিনি তা করবেন।

তিনি আরও বলেন, গাজা কিংবা ফিলিস্তিনকে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তিনি যা বলেছেন, জাতিসংঘে এমন বেশ কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র রয়েছে, যাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই। কোনো ভ‚খণ্ডকে রাষ্ট্র হতে হলে তার নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকতেই হবেÑএমন কোনো আবশ্যিক বাধ্যবাধকতা নেই। আমি মনে করি এই ইস্যু নিয়ে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল) অদূর ভবিষ্যতে আরও কাজ করতে পারব।

গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে পুরো এলাকার নিরাপত্তা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় ওই এলাকাও রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত এবং এটি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের) সার্বভৌমত্বের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমি বিষয়টি আমার মার্কিন বন্ধুদের জানিয়েছি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমন বাস্তবতা চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা থামিয়ে দিয়েছি।

ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা নেতানিয়াহু তার গোটা রাজনৈতিক জীবন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে কাটিয়েছেন। গত মাসে তা গর্ব করে ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। ফলে তার এই মন্তব্য খুব একটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানায়নি। গত শুক্রবার বাইডেন প্রশাসনের অন্তত উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে। জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত প্রায় সাড়ে তিন মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার।