দ র্শ নী য় স্থা ন বুদ্ধ ধাতু জাদি

ভ্রমণপ্রিয়রা বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করেন। কোনো কারণে একটুখানি মন খারাপ হলেই কোনো কথা নয়, বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে। তাদের জন্য বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং উপযুক্ত স্থান হতে পারে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান জেলা শহর থেকে এক দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় পুলপাড়া নামক স্থানে বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাংয়ের অবস্থান। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু এ মন্দিরটি একটি পাহাড় চূড়ায় রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীসম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মন্দির এই ‘বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং’। বান্দরবানে এটি ‘স্বর্ণমন্দির’ নামে সুপরিচিত। মূলত সোনালি রঙের জন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে স্বর্ণমন্দির। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হীনযান (মারমা জাতিগোষ্ঠী) বৌদ্ধ মন্দির। এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর। এটি ৩৫০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। দেবতা পুকুরটিতে সব মৌসুমে পানি থাকে। বৌদ্ধ ভানেদের মতে, এটা দেবতার পুকুর, তাই এখানে সব সময় পানি থাকে।
এই প্যাগোডা একটি আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। এটি শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটেও পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে এখানে মেলা বসে। পূজারীদের জন্য এটি সারাদিন খোলা থাকে, আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থীদের জন্য বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এ প্যাগোডা চত্বরে শর্টস, লুঙ্গি ও জুতা পরে প্রবেশ করা যায় না।
দীর্ঘ আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ওঠা ১৭০ ধাপের সিঁড়ির শেষে এ জাদির গেট। জাদির প্রধান আকর্ষণ সোনালি কারুকার্যময় কেন্দ্রীয় মন্দির। এর চারপাশে রয়েছে কয়েকটি ছোট স্থাপনা, প্রদর্শনীশালা, ভিক্ষু নিবাস। প্রবেশমুখে রয়েছে দুটি বড় মূর্তিসহ ছোট কয়েকটি মূর্তি। এর আরেক আকর্ষণ হচ্ছে বিশালাকৃতির একটি ঘণ্টা ঘিরে ছোট আকৃতির অনেকগুলো ঘণ্টার একটি সারি, যা দিনরাত টুংটাং করে বাজতে থাকে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০