ধনবাড়ীতে আলুর ফলনে খুশি কৃষক

শাহরিয়ার সিফাত, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও অনুকূল আবহাওয়া, পরিমিত সুষম সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় ফলন হয়েছে ভালো। এতে খুশি কৃষক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৩১২ হেক্টর। তার মধ্যে উন্নত জাতের আলুগুলো হলো ডায়মন্ড, কর্ডিনাল, কারেল, এস্টরিকা, কুফরি সুন্দরী, লাল পাকড়ী ও জলপাই। পরিমিত জৈব সার ব্যবহার, উন্নত বীজ ও বালাইমুক্ত পরিবেশ থাকায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন আশা করা হচ্ছে ১৮ মেট্রিক টন। গত বছর প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছিল ১৭.২৭ মেট্রিক টন, মোট আলু উৎপাদন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৩৮৮ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন।

উপজেলার প্রতিটি এলাকায় কম-বেশি আলু চাষ হয়েছে। তবে যদুনাথপুর ইউনিয়নে বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ইউনিয়নের সাত্তারকান্দি গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন মিয়া জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সার, বীজ ও কীটনাশকের দাম কম থাকায় আলু চাষে খরচ অনেক কম হয়েছে। গত বছর আলু চাষে ব্যাপক লোকসান হওয়ায় এবার অনেক কৃষক আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। একই গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন, মো. হেলাল, আবির মিয়া, জয়নাল আবেদীন জানান, আলুক্ষেত বালাইমুক্ত থাকায় আলুর আকার ও ফলন ভালো হয়েছে।

ধনবাড়ী পৌর শহরের সিংগাটা গ্রামের কৃষক আবদুর রশিদ মিয়া জানান, সার ও বীজের দাম স্বাভাবিক থাকায় এ বছর উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পেলে গত বছরের লোকসান পুষিয়ে যাবে।

বলিভদ্র গ্রামের কৃষক হাসান মিয়া জানান, উপজেলায় শুধু আলু নয় সব ধরনের ফসল চাষ হয়। বিশেষ করে কাঁচামরিচ, শসা, বেগুন, টমোটো, গাজর, ভুট্টা, শিম, করলা, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ঢেঁড়স, মুলাসহ সব ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি এলাকার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, এ বছর উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৩১২ হেক্টর। এবার প্রতি হেক্টরে ফলন আশা করা হচ্ছে ১৮ মেট্রিক টন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০