শাহরিয়ার সিফাত: টাঙ্গাইলের আকর্ষণীয় ভবনগুলোর মধ্যে ধনবাড়ী নবাব প্যালেস অন্যতম। বৈরান ও বংশী নদীর মাঝখানে ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এ নবাববাড়ি। নবাববাড়িতে রয়েছে নবাব প্যালেস, আবাস ভবন ও কাছারি ভবনসহ আরও কয়েকটি ভবন। রয়েছে কনফারেন্স হল, কনভেনশন হল, ডাইনিং হল, নবাব জাদুঘর ও গ্রন্থাগার। তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ ও একটি সুন্দর বাগানও রয়েছে। মনোরম বাড়িটি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে শত শত পর্যটক আসেন।
চার গম্বুজবিশিষ্ট অপূর্ব স্থাপত্যরীতির শতাব্দীপ্রাচীন প্যালেসটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। প্রাচীরে ঘেরা নবাব মঞ্জিল বা নবাব প্যালেস ও নবাব কাচারিকে বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। প্রাসাদটি দক্ষিণমুখী ও দীর্ঘ বারান্দা সংবলিত। ভবনের পূর্বদিকে বড় একটি তোরণ রয়েছে। তোরণের দুই পাশে রয়েছে প্রহরীদের জন্য দুটি কক্ষ। তোরণটি জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী ব্রিটিশ গভর্নরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য নির্মাণ করেছিলেন। প্রাচীরঘেরা চত্বর অংশে আবাসিক ভবন দুটি ছাড়া আরও আছে ফুলের বাগান, চিড়িয়াখানা, বৈঠকখানা, রান্নাঘর, নায়েবঘর, কাচারিঘর, পাইক-পেয়াদার বসতি ও দাস-দাসী চত্বর। দর্শনার্থীদের জন্য এ নবাব প্যালেসে রয়েছে চার ধরনের আবাসন ব্যবস্থা। মঞ্জিল (মূল রাজপ্রাসাদ), প্যালেস (কাচারিঘর), ভিলা (২০০ বছরের পুরোনো টিনশেড ভবন) ও কটেজ (সম্প্রতি নির্মিত টিনশেড বাংলো)। মঞ্জিল ও প্যালেসের খাট, সোফাসহ সব আসবাবপত্র নবাবরা ব্যবহার করতেন।
যেভাবে যাবেন
রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিনিময় পরিবহনের বাসে চড়ে সরাসরি যেতে পারেন ধনবাড়ী। এছাড়া আরও কয়েকটি পরিবহনের বাস যাতায়াত করে। বাসস্ট্যান্ডে নেমে হেঁটে যেতে পারবেন নবাব প্যালেসে।
টাঙ্গাইল
Add Comment