ধরাছোঁয়ার বাইরে কিয়েভ যুদ্ধকৌশল নিয়ে ধোঁয়াশা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি পুতিন বাহিনী। এই অসম লড়াইয়ে পুতিনের সামরিক বাহিনীর কৌশল নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন উঠছে, শক্তিশালী রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না কেন? না কি ইউক্রেনকে বাগে আনতে হিমশিম পোহাচ্ছে? খবর: এপি।

যুদ্ধ শুরুর আগে মাত্র দুই ঘণ্টায় কিয়েভ দখলের কথা বলেছিল রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এমনকি মার্কিন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলোর ধারণা ছিল, যুদ্ধ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের এয়ারফোর্স ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ভয়াবহ বিমানহামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে রুশ বিমানবাহিনী। আকাশসীমা শত্রুহীন করার পর ইউক্রেনে প্রবেশ করবে রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি। এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। দেশটির ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ কাজ করছে।

ইতোমধ্যে রাশিয়ার ১৪টি যুদ্ধবিমান ও ২৬টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার গুলি করে নামানোর দাবিও করেছে কিয়েভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ঘোস্ট অব কিয়েভ’ নামের এক ইউক্রেনীয় পাইলটকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ওই পাইলট একাই ছ’টি রুশ বিমান ধ্বংস করেছেন। যদিও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

রাশিয়ার বিমানবাহিনীতে চার হাজার বিমান রয়েছে। তুলনায় ইউক্রেনের কাছে রয়েছে মাত্র ৩০০টি যুদ্ধবিমান। এ কারণে রাশিয়া কেন কিয়েভ দখল করতে পারছে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক আরইউএসআই থিংকট্যাঙ্ক। ‘দ্য মিস্টিরিয়াস কেস অব দ্য মিসিং রাশিয়ান এয়ারফোর্স’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমরসূত্র মেনে যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের এয়ারফোর্স ও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলোকে গুঁড়িয়ে দেবে রাশিয়া বলে ভাবা হয়েছিল। ১৯৩৮ সালের পর প্রায় সব যুদ্ধে এমন দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে পালটা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানগুলো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০