নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ধর্মঘট তুলে না নিলে সোমবার (আজ) থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কিছু দাবি মানা হয়েছে, বাকিটা প্রক্রিয়াধীন। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার সময় নিয়েছে। এর মধ্যে আন্দোলন অযৌক্তিক। গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যমুনা অয়েলের বোর্ডরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিন দফা দাবিতে রোববার ভোর থেকে ধর্মঘট পালন করছে ফিলিং স্টেশন মালিকদের একাংশের। যদিও খুলনা বিভাগসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ধর্মঘট চললেও ঢাকা, সিলেট অঞ্চলে পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। তবে ডিপো থেকে তেল পরিবহন প্রায় বন্ধ থাকায় পাম্পগুলোয় মজুত কমছে। ধর্মঘটের কারণে পরিবহন চালকদের মধ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠা ছিল দিনভর। যেসব পাম্পে তেল বিক্রি হয়েছে সেগুলোর সামনে গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, যারা ধর্মঘট ডেকেছে, তারা সমিতির সদস্য নয়। যেহেতু সরকার ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছে; তাই এখন আন্দোলন করার যুক্তি নেই।
বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি করে ২০ পয়সা কমিশন পায় পেট্রোল পাম্প। এটি বাড়িয়ে বিক্রয়মূল্যের সাড়ে ৭ শতাংশ করার দাবি তাদের। বাকি দাবির মধ্যে আছে, পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট ও ট্যাংক-লরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়; এটি আলাদা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ। ২৫ বছরের বেশি বয়সী ট্যাংক-লরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা। ইতোমধ্যে পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।
সরকার অনুমোদিত পরিবেশকদের নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বিপিসির অধীন থাকা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ জ্বালানি তেল কিনে ব্যবসায়ীরা নিজস্ব পেট্রোল পাম্প থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করে গ্রাহকের কাছে।