ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসায় সালিশ কেন অপরাধ নয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে কেন গণ্য করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে চলমান অন্যান্য মামলা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ-সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে রিটকারী আইনজীবী শাহিনুজ্জামান শাহিন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসকের পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়। আবেদনে গত ১০ বছরে সারা দেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে, তার তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া ধর্ষণের মামলা রুদ্ধদ্বার আদালতে বিচারের বিধান কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি, বিচার শুরুর পর থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটানা বিচার চলার বিধান ও আদেশ কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিস পাঠান ইয়াদিয়া জামান। নোটিসের পরও কোনো পদক্ষেপ না দেখে রিট আবেদন করা হয় বলে জানান আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০