শেয়ার বিজ ডেস্ক: হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হবে শিগগির। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির লক্ষণ নেই বললে চলে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে লেবাননে হিজবুল্লাহ বাহিনীর ওপর হামলা। এই পরিস্থিতিতে ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে ইসরায়েলের অর্থনীতি। খবর: ওয়াশিংটন পোস্ট।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী ইসরায়েলে হামলা চালালে চলতি যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। ইসরায়েলের অর্থনীতিতে এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। এই এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ঋণমান অবনমন হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকুচিত হয়েছে।
দেশটির হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষের চাকরি গেছে। কোম্পানিগুলো দূরবর্তী জায়গা থেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ সেনা হিসেবে যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তারা সৈনিক জীবনের সঙ্গে মূল ক্যারিয়ারের ভারসাম্য আনতে হিমশিম খাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ২ লাখ ৮৭ হাজার নাগরিক রিজার্ভ সেনা হিসেবে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। ইসরায়েলের জনসংখ্যা এক কোটির কম। অর্থাৎ দেশটির এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি কীভাবে চলছে, তা বড় প্রশ্ন।
ইসরায়েলের অর্থনীতির বিশেষ দিক হলো তার বিশাল উচ্চ প্রযুক্তি খাত। এই খাতে যুদ্ধের তেমন প্রভাব না পড়লেও নির্মাণ ও কৃষি খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এই দুটি খাত আবার অনুমতি নিয়ে ইসরায়েলের কাজ করতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ৭ অক্টোবরের পর এদের কাজের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। ফলে এই দুটি খাতে যুদ্ধের প্রভাব বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হচ্ছে।
পর্যটন খাতের অবস্থা শোচনীয়। এই খাতের ব্যবসা কমেছে ৭৫ শতাংশের বেশি। জেরুজালেমের পুরোনো শহর এমনিতে পর্যটকে গিজগিজ করলেও সেই এলাকার অনেক দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গেছে।
যুদ্ধের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এই এক বছরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যয় অন্তত দ্বিগুণ হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক বার্তা, ২০২৫ সালের মধ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধজনিত ক্ষতি ৬৭ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে।
লেবাননে ইসরায়েলের চলমান হামলার আগেই এই পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বাস্তব ক্ষতি এর চেয়ে অনেক বেশি হবে।