ক্রীড়া প্রতিবেদক: গত এক সপ্তাহ ধরে টালমাটাল বাংলাদেশের ক্রিকেট। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় যা আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে গতকাল ভারতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তার আগে দেশ ছাড়ার সময় নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমুদউল্লাহ জানিয়ে দেন, এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। দেশের জার্সিতে সেরাটা দিতে চান। একই সঙ্গে সাকিবের প্রতিও জানিয়েছেন অকুণ্ঠ সমর্থন ও পাশে থাকার কথা।
সব ঠিক থাকলে গতকাল দুপুরে সাকিবের নেতৃত্বেই দিল্লির বিমানে চড়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু জুয়াড়ির কাছ থেকে একাধিক প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় সাজা পেয়ে সাকিব এখন এক বছরের জন্য ক্রিকেটের বাইরে। হঠাৎ করে এমন হওয়ায় একদিন আগেই প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্বভার ওঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে।
গতকাল ভারত যাওয়ার আগে নতুন পাওয়া দায়িত্ব অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে একটু ভিন্ন বলে জানিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ, ‘প্রথমত আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চ দিয়ে তা পালন করার। দেশের জার্সি গায়ে দিয়ে যখন নামব, চেষ্টা করব দল হিসেবে আমরা যেন সেরাটা দিতে পারি।’
ঘরের মাঠে ভারত অপ্রতিরোধ্য। সেই দলটির সঙ্গে এমন বিপর্যস্ত দল নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘হ্যাঁ, তারা অনেক ভালো দল। তবে দল হিসেবে যদি আমরা সেরাটা দিতে পারি, ছোট ছোট সুযোগ যদি কাজে লাগাতে পারি তাহলে সম্ভব (ভালো কিছু করা)।’
ভারত সফরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আইসিসিতে থেকে আসে দুঃসংবাদ। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার এ বাঁহাতি নিষিদ্ধ দু’বছর। যে কারণে গতকাল প্রতিবেশী দেশটিতে যেতে পারেননি তারকা এ অলরাউন্ডার। তার মতো ক্রিকেটার না থাকাটা দলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি, যা কাটিয়ে ওঠা অনেক কঠিন বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবুও তার দলের সদস্যরা সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবেন ভালো কিছু করতে, ‘সবাই জানি আমাদের দলের জন্য, দেশের জন্য কত বড় আঘাত। ও কত বড় খেলোয়াড় সবাই জানি। হয়ত সে একটা ভুল করেছে, কিন্তু অপরাধ করেনি। আমাদের সবার সমর্থন তার সঙ্গে আছে। আমরা সাকিবকে ভালোবাসতাম। আশা করি ভালো বেসে যাব।’
সাকিবকে ছাড়া ভারত সফরে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম। তারপরও সেরা তারকার অনুপস্থিতিতে সবাই বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার আশা করেন তিনি, ‘সাকিবের অভাব পূরণ হওয়ার মতো নয়। তারপরও আমার মনে হয় এখন যারা ভারত যাচ্ছে, এদের সবারই একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মনে করি সবাই এটার জন্য উদ্যোগী হবে।’
ভারত সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ সফর দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। তার আগে ৩ নভেম্বর প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে লড়বে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।