শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফ্রিকার প্রয়োজনীয় ধাতু সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সৌদি আরব। এর উদ্দেশ্য নিজেদের জ্বালানি খাত গতিশীল করা। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সৌদি আরবের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, গিনি এবং নামিবিয়ার মতো কয়েকটি দেশ থেকে ১৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ধাতু কিনবে বা এর অংশীদারত্ব কিনবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোও উৎপাদনের অংশীদার হতে পারবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনে ব্যবহƒত কোবাল্ট, লিথিয়াম এবং অন্যান্য ধাতু সরবরাহে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত জুলাইয়ে সৌদি আরবের মাইনিং কোম্পানি মা’আদিন এবং সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) ব্রাজিলের একটি ধাতু খনির ১০ শতাংশ অধিগ্রহণ করে। এ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ সংস্থা ইঞ্জিন নম্বর ওয়ান ৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করে।
পিআইএফ গত জুনে কঙ্গোয় কোবাল্ট, তামা এবং ট্যানটালামে বিনিয়োগের জন্য ‘মানারা মিনারেলস’ নামে মা’আদিনের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন বা ৩০ কোটি ডলারের একটি যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়। মানারা লোহা আকরিক, নিকেল এবং লিথিয়ামের দিকেও নজর দিচ্ছে।
ওয়াশিংটন এ অঞ্চল থেকে অন্যান্য সার্বভৌম-সম্পদ তহবিলের আর্থিক সমর্থন চাইছে। এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা বহুদূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সৌদি সরকার এবং হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য কোবাল্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং দেশের ভেতরেই অনুসন্ধান চালায়। আরেক ধাতু মানুষ লিথিয়ামের কথা জানা যায়, দুইশ বছর আগে। তবে এর গুরুত্ব বুঝতে শুরু করছে কয়েক বছর আগে। মূলত ব্যাটারি বানাতে লিথিয়াম প্রয়োজন। তাই খাত-সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে একে ডাকতে শুরু করেছেন এ যুগের স্বর্ণ বলে।