ধামইরহাটে কারেন্ট জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ নিধন

আবদুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ): নওগাঁর ধামইরহাটে কারেন্ট জাল দিয়ে নদী, নালা, ডোবা থেকে নির্বিচারে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন চলছে। হাটবাজারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। এতে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মান। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলার সর্বত্র গত কয়েকদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-ডোবা পানিতে ভরে গেছে। দেশি প্রজাতির মাছ বিশেষ করে কই, পুঁটি, টেংকা, মাগুর, কানুছ, চেংক, ভুরকুটি, টাকি মাছ ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। অনেকে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল দিয়ে এসব মাছ ধরছেন। কিছু মানুষ বিল, নদী-নালা ও খাড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট আকারের এসব মাছ ধরছে অবাধে।

অথচ এসব ছোট আকারের মাছ না ধরলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে মাছগুলো বড় আকার ধারণ করত। এবার বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারেন্ট জাল বন্ধ করা গেলে অনেক মাছ পাওয়া যেত বলে অনেকে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারেন্ট জাল ব্যবহারকারী বলেন, এ জাল পানিতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জালে পড়তে থাকে। ছোট-বড় সব ধরনের মাছ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে। সহজেই কারেন্ট জাল পাওয়া যাচ্ছে হাটবাজারগুলোয়।

গতকাল রোববার ধামইরহাটে গিয়ে দেখা যায়, মানুষ অনেকটা লাইন দিয়ে কারেন্ট জাল কিনছেন। দোকানদার বস্তার কারেন্ট জাল রেখে গোপনে বিক্রি করছেন। এসব জাল ৫-৬ টাকা হাত দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত শুক্রবার উপজেলা রাঙামাটি হাটে গিয়ে দেখা যায়, টিন শেডের নিচে অবাধে জাল কেনাবেচা চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. আবু সাঈদ বলেন, এ ব্যাপারে ব্যাপক মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হাটবাজারে কারেন্ট জাল বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গণপতি রায় বলেন, আইন অমান্য করে যারা কারেন্ট জাল বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০