ধামইরহাটে ৬৯৭ দরিদ্র পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ

কামরুল হাসান চৌধূরী, নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়েছে ৬৯৭ দরিদ্র পরিবারকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কোটি পাঁচ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে সোলার প্যানেল ও রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইস্রাফিল হোসেন জানান, উপজেলায় এ বছর এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা সোলা প্যানেল স্থাপনে বরাদ্দ ছিল। এখানে বিদ্যুৎবিহীন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৬৯৭টি দরিদ্র পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। তারা এখন রাতের যাবতীয় কাজ সোলারের আলোয় করছে। শিশুরা সোলারের আলোয় পড়ালেখা করছে। সেইসঙ্গে মোবাইলে চার্জ ও ১২ ভোল্টের ফ্যানের বাতাসও পাওয়া যাচ্ছে।

উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উমরপুর হঠাৎপাড়ার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা জানায়, আগে হারিকেনের আলোতে রাত জেগে পড়াশোনা করতে কষ্ট হতো। এছাড়া গরমের সময় হতো আরও সমস্যা। এখন সোলারের আলোতে গভীর রাত পর্যন্ত পড়তে পারছি। জাচিনতা হেম্রম জানান, প্রতিমাসে রাতে বাতি জ্বালাতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার কেরোসিন কিনতে হতো। তারপর সারা রাত অন্ধকারে থাকতে হতো। খরচ বাঁচাতে ছেলেমেয়েদের দিনের আলোতেই পড়তে হতো। এখন রাতে সম্পূর্ণ বাড়ি আলোকিত হয়ে থাকছে। দোকানদার হাসান হাফিজুর জানান, রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করার পর রাস্তাও আলোকিত হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ না থাকলেও রাস্তা আলোকিত থাকে।

সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা দিলেও ভবিষ্যতে এটার কী হবে, এর দেখভাল করবে কে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের? সোলার প্যানেল ব্যাটারির ওয়ারেন্টির পর নষ্ট হয়ে গেলে হয়তো তা পড়ে থাকবে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম মান্নান জানান, সোলার প্যানেলের সুফল ও কুফল আছে। সুফলটা হচ্ছে ওয়ারেন্টি আছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলায় টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কোটি পাঁচ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে সোলার প্যানেল ও রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের কাজ করা হয়।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০