নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধামরাইয়ে রান্নাঘরে গ্যাস জমায় বিস্ফোরণের ফলে যারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, তাদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন আছেন দুজন। গত শনিবার ভোরে ধামরাইয়ের কুমড়াইল এলাকার কবরস্থান-সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় পোশাককর্মী মনজুরুল ইসলামের ঘরে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মনজুরসহ পাঁচজন দগ্ধ হলে সবাইকে ঢাকায় এনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান সাদিয়া আক্তার (১৯)। তিনি মনজুরের স্ত্রীর বোনের মেয়ে।
সাদিয়ার দেহের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এসএম আইউব হোসেন। এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয়েছিল মনজুরের স্ত্রী জোসনা আক্তারের (২৫)। তার দেহের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মনজুর ও জোছনার দুই বছর বয়সী মেয়ে মরিয়মের মৃত্যু হয় রোববার রাতে। মনজুর (৩৫) ও তার স্ত্রী জোসনার বড় বোন হোসনে আরা (৩০) এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তি মো. সুফিয়ান জানান, ভোরে জোসনা আক্তার রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে। তখন ঘরে আগুন ধরে যাওয়ায় সেখানে থাকা অন্যরাও দগ্ধ হন।
মনজুরের ঘরে সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়ে রান্না করা হতো। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, সিলিন্ডার থেকে চুলার পাইপে কোথাও লিকেজ ছিল, ফলে রাতভর গ্যাস জমে ছিল রান্নাঘরে। ভোরে জোসনা চুলায় আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।