প্রতিনিধি, সাভার: ঢাকার ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া-কাওয়ালীপাড়া সড়কে মিশুক চালাতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিএনজিচালকদের বিরুদ্ধে। উপজেলার বারবাড়িয়া থেকে কাওয়ালীপাড়া আট কিলোমিটার সড়কে প্রায় ৭-৮ বছর ধরে ২৪টি সিএনজি ও দুই বছর ধরে প্রায় ৩০টি মিশুক চলাচল করে। এছাড়া ৩০-৩৫টি ভ্যানও চলাচল করে। এসব পরিবহনের চালকদের মধ্যে যাত্রী আনা-নেয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে বিরোধিতারও সৃষ্টি হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চালকদের মধ্যে বিবাদের জেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্যরা উভয় চালকদের নিয়ম ঠিক করে দেন। সে অনুযায়ী মহাসড়ক থেকে কয়েক গজ দূরে থাকবে সিএনজি। আর মহাসড়কের কাছাকাছি থাকবে মিশুক। সিএনজি কাওয়ালীপাড়া পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেয়া করবে। আর মিশুক চলবে দত্ত নালাই পর্যন্ত। তবে রিজার্ভ গেলে মিশুক কাওয়ালীপাড়াও যেতে পারবে।
মিশুক চালকদের অভিযোগ, এতদিন এভাবে চললেও সম্প্রতি সিএনজিচালকরা তাদের স্টপেজ কিছুটা ওপরে আনেন। এরই জেরে মিশুকচালকরাও দাবি করেন কাওয়ালীপাড়া পর্যন্ত যাত্রী নেয়ার। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই জেরে গত ৪-৫ দিন ধরেই একাধিক মিশুক চালককে বাধা, মারধরের হুমকি-ধমকি, মিশুক আটকে রাখাসহ নানাভাবে বিরোধ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সিএনজিচালকদের বিরুদ্ধে।
মিশুকচালকদের সংগঠনের সভাপতি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘তারা আমাদের গাড়ি আটকে রাখছে। গাড়ি চলতে দিচ্ছে না। গণ্যমান্যরা যে নিয়ম করে দিয়েছিলেন, সেটাও মানছেন না। আমাদের ৪-৫ জন চালককে তারা হুমকি দিয়েছেন। একাধিক গাড়ি আটকে রেখেছেন। এছাড়া নানাভাবে হয়রানি করছেন।’
আইন বলছে, আন্তঃসড়কে যান চলাচলের জন্য কোনো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নেই। ফলে গাড়ি চলাচলে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবেন না।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সিএনজিচালকদের সংগঠনের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘তারা ওই পর্যন্ত যেতে পারবেন না। এটাই নিয়ম করা আছে।’ তবে কাউকে হয়রানির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।’
গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, ‘দুই বছর আগে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল বিষয়টি। এখন আবার কী হয়েছে তা জানা নেই। যদি তারা অভিযোগ নিয়ে আসে, সবাইকে নিয়ে বসে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ধামরাই ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘অভিযোগ পেলে দেখা হবে।’