জাহিদ হাসান : প্রচণ্ড গরম, বৃষ্টি নেই। বাতাসে ধুলোবালি আর বৈরী আবহাওয়া। ধুলোবালির কারণে হাঁচি, কাশি, হাঁপানি, চুলকানি যাচ্ছেই না। সচেতন মানুষ মাত্রই ধুলোবালি মুছতে মুছতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তবে ঘরবাড়ি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কয়েকটি সহজ বিষয় মেনে চললে সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
যেসব বস্তু কিংবা স্থানে ধুলোবালি থাকতে পারে, তা চিহ্নিত করুন। যেমন বিছানার চাদর, বালিশের কভার, বালিশ, লেপ, জাজিম, তোশক, কাঁথা, কম্বল, সিলিং প্রভৃতি। এগুলোতে ধুলোবালির সঙ্গে ঘরোয়া জীবাণু ডাস্ট মাইট থাকে। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও এসব জিনিসপত্র পরিষ্কার করা উচিত।
আসবাবপত্র যেমন চেয়ার, টেবিল, দরজা, সোফা, খাট, আলমারি, ওয়্যারড্রোব প্রভৃতির ওপরে ও ফাঁকে ফাঁকে ধুলোবালি থাকে। এগুলো প্রতিদিনই ঝেড়েমুছে পরিষ্কার রাখা উচিত।
ঘরের মেঝে ও মেঝেতে বিছানো কার্পেট, ম্যাটে প্রচুর ধুলা জমে। এ কারণে নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
মেঝেতে কার্পেট বা ম্যাট বিছানো না থাকলে ভালো। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ঝাড়– দিয়ে প্রথমে ধুলা সরাতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুছে ফেলুন।
বাড়িঘরের দেয়াল, ছাদসহ নানা কর্নারে প্রচুর ধুলোবালি জমে, তাই এগুলো ধুলঝাড়– দিয়ে নিয়মিত ঝেড়ে পরিষ্কার রাখতে পারেন।
আর্দ্র রান্নাঘরে বাসা বাঁধতে পারে ছত্রাক। কাজ শেষে রান্নাঘরের মেঝে পরিষ্কার করে শুকনো রাখুন।
শিশুর খেলনায়ও জমে ময়লা। অনেক খেলনার ওপর কাপড়ের আবরণ থাকে। এগুলো মাঝে মাঝে ধুয়ে ফেলতে পারেন। উল অথবা পশমের তৈরি খেলনা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ধুলোবালি যেন না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাংবাদিক
Add Comment