ভুয়া সংবাদ, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ, চরম একপেশে মতবাদ, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, গুজব ছড়ানো, ঘৃণা প্রভৃতির দিন বুঝি ফুরিয়ে এলো। বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইনে আসল ও নকল খবর আলাদা করা যাচ্ছে না। ভুয়া সংবাদ নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে গুগল, ফেসবুক ও টুইটারসহ নানা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে তারা থেমে নেই। সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি নিউইয়র্কের ডিজাইন প্রযুক্তিবিদ ড্যানিয়েল সিয়েরাডস্কি একটি প্লাগ-ইন উদ্ভাবন করেছেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘বিএস ডিটেক্টর’।
নকল সংবাদের উৎস তালিকাকে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে এ ডিটেক্টর। ক্রোম, মজিলা, সাফারি, এজসহ প্রায় সব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায় এ প্লাগ ইন। মাত্র এক ঘণ্টায় এটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এর উদ্ভাবক। ভুয়া সংবাদ রোধে ফেসবুকে কোনো কিছু করা সম্ভব কিনা মার্ক জাকারবার্গের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বিএস ডিটেক্টর উদ্ভাবন করেছেন। এ কাজে তার সঙ্গী ছিল কয়েকজন ওপেন সোর্স সহায়তাকারী।
ফেসবুক ও টুইটারে সন্দেহজনক ওয়েবসাইট চিহ্নিত করতে পারে এ ডিটেক্টর। ভুয়া সংবাদ মোকাবিলায় ফেসবুক ব্যর্থ এমন ধারণা থেকে ব্যবহারকারীর মুক্তি দিতে যাচ্ছে এটি। এর মাধ্যমে ফেসবুকে ফিশিং ওয়েবসাইট ব্লক করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল। কয়েকদিন ধরে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাল রঙের সতর্কীকরণ ব্যানার পেয়ে আসছেন। সেখানে উল্লেখ আছে, ওয়েবসাইটটিকে সন্দেহজনক উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে বিএস ডিটেক্টরকে ফেসবুকের অফিসিয়াল ফিচার মনে করছেন। তাই কেউ কেউ তাদের নিউজফিডে ‘বিএস ডিটেক্টর’ ব্যবহার করছেন।
বর্তমানে সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে কেবল সাময়িক তথ্য যাচাই ও প্রমাণে কাজ করে যাচ্ছে এ প্লাগ ইন। যদিও সমালোচনা থেমে নেই। যেমন বিএস ডিটেক্টর ব্যবহারের ফলে ব্রাউজার ক্রাশ করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ব্যবহারকারী।
প্রসঙ্গত, বিএস ডিটেক্টর নিয়ন্ত্রণ ও স্বত্ব রয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল সংস্থা দ্য সেল্ফ এজেন্সির। এর বর্তমান মালিক উদ্ভাবক ড্যানিয়েল সিয়েরাডস্কি।