নকল সরবরাহ করায় অধ্যক্ষের কারাদণ্ড

 

প্রতিনিধি, চাঁদপুর : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার পৌর এলাকার চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে এগারোটার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারি গাড়ি দূরে রেখে হেঁটে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া এবং কিছু শিক্ষক ছোটাছুটি শুরু করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়টি বুঝতে পেরে শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করেন। পরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে নকল পাওয়া যায়।

হাতে লিখে সমাধান করা ফটোকপি করা নকল দেখে কেন্দ্রে উপস্থিত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫-৩০ কপি হাতে লেখা নকলের প্রিন্ট বের করেছেন। ওই শিক্ষককে পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি একপর্যায়ে জানান, বাসায় তিনি মোবাইল ফোন রেখে এসেছেন। তার নম্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল দিলে পাশের ব্যাগের মধ্যে মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। মোবাইল ফোনে প্যাটার্ন লক ছিল, তাকে প্যাটার্ন লকটি খুলতে বললে তিনি তাৎক্ষণাৎ মোবাইল থেকে কিছু একটা ডিলিট করে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের বাইরে উদ্ধারকৃত হাতে লেখা নকলের হুবহু ছবি পাওয়া যায়। তিনি জানান, তার এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করেছেন।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ দোষ স্বীকার করায় পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৯(ক) ধারা মোতাবেক রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ছায়েদুল ইসলাম (৫৩)কে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা ভদ্রাগাছা গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০