নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসে সৃষ্টি সংকটে চাহিদা থাকায় চট্টগ্রাম নকল স্যানিটাইজার, পিপিই, মাস্ক ও অবৈধ ওষধ বিক্রি বেড়েছে। যা রোধে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে শনিবার (২৩ মে) প্রায় চার লাখ টকার নকল স্যানিটাইজার, পিপিই, মাস্ক ও অবৈধ ওষধ জব্দ করা হয়। একই সাথে ৮২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জেলা প্রশাসন।
সকাল ১১টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর আন্দরকিল্লাহ ও ওষুধের পাইকারী বাজার হাজারী গলিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় ২০০ বোতল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নকল স্যানিটাইজার, ৫০ পিস নকল পিপিই, ৩০ বক্স নকল মাস্ক ও ফিজসিয়ান স্যাম্পলসহ অবৈধ ওষুধ জব্দ করা হয়।

অভিযানে আন্দরকিল্লার মেসার্স তাজ ট্রেডার্স কে নকল হান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, নকল পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করার কারণে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। হাজারী গলির রতন ফার্মেসিকে নকল মাস্ক হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও অবৈধ ওষুধ বিক্রয়ের কারণে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, এলাজ ফার্মেসিকে নকল মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, ফিজিসিয়ান স্যাম্পল ও অবৈধ ওষুধ বিক্রয়ের দায়ে দশ হাজার টাকা এবং শামস ফার্মেসিকে দশ হাজার টাকা ও রাউজান ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক শেয়ার বিজকে বলেন, নকল পিপিই, মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিরুদ্ধে গত দুই মাস ধরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে অনেক প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যাতীত করোনা প্রতিরোধী নকল পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।