নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজউকের নকশাবহির্ভূত এক হাজার ৮১৮টি ভবন মালিকের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় রাজউক অনুমোদিত নকশার বাইরে যারা ভবন নির্মাণ করেছেন আমরা তাদের নোটিস দিয়েছি। আমরা যদি সেগুলো হঠাৎ করে ভাঙতে যাই তাহলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা নোটিস দেওয়া শুরু করেছি। নোটিসের আশানুরূপ ফল না আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে কোন ভবনের মালিক কে, তার গায়ের রং কী, তিনি কোন পদে আছেন, তার কী পরিমাণ অর্থ আছে এগুলো আমার কাছে কোনো কাজ করবে না।’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। ভবন নির্মাণে দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের জনবলের সংকট থাকায় ধীর ধীরে আমরা কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। কেউ দুর্নীতি করুক সেটা আমরা চাই না। তবে গণহারে কাউকে দোষারোপ করবেন না। আমরা কাউকে বাঁচানোর পক্ষে না, যিনি দুর্নীতি করবেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ত্রুটির কথা লিখবেন তবে অর্জনগুলো যেন বাদ না পড়ে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে রাখতে হবে দেশের মালিক জনগণ। তাদের টাকায় আমাদের বেতন দেওয়া হয়। তাই জনগণের কোনো কাজে গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি পদ্ধতি, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা না হলে আমাদের আগামী প্রজš§ ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখব। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যবস্থাপনা করা হবে।
নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।