নক্ষত্রবাড়ি

রাজধানীর অদূরে গড়ে উঠেছে একটি দর্শনীয় স্থান ‘নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট’। স্থানটি বেশ নিরিবিলি। বিভিন্ন গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ হওয়ায় বেশ ছায়াযুক্ত এ নক্ষত্রবাড়ি। রাজবাড়িতে অবস্থিত হওয়ায় মাত্র এক দিনেই ঘুরে আসতে পারবেন এ দর্শনীয় স্থান থেকে। তবে হাতে সময় নিয়ে দুই দিনের জন্য বেড়াতে গেলে বেশ উপভোগ্য হবে ভ্রমণটি। সরকারি চাকরিজীবীরা সাপ্তাহিক ছুটি উপভোগের জন্য অনায়াসে বেছে নিতে পারেন রিসোর্টটিকে। কেননা শুক্রবার ও শনিবার তাদের ছুটি থাকে। আলাদা করে আর ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
অভিনেতা, চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক স্থপতি তৌকীর আহমেদ ও তার সহধর্মিণী অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত বিনোদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন দৃষ্টিনন্দন নক্ষত্রবাড়িটি। এটি প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। রাজবাড়ির চিনাসুখানিয়া গ্রামে এর অবস্থান। এ রিসোর্টে রয়েছে ঝরনা, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট ও থাকার জন্য আবাসিক ভবন। আরও রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ, যেগুলো বাঁশ, কাঠ ও ছনের তৈরি। কটেজগুলো বেশ আকর্ষণীয়। এছাড়া রয়েছে পুকুর। পুকুরের কিনারজুড়ে কটেজগুলো। পুকুরের ধারে হওয়ায় কটেজের বারান্দায়
বসে রাতের জ্যোৎস্নার মনোহর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সঙ্গে রয়েছে গাছগাছালির সুবাতাস।
এখানকার রেস্টুরেন্টে বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাই ও কন্টিনেন্টালসহ বিভিন্ন খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে শুটিং করারও সুব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরি, মুভি থিয়েটারসহ রয়েছে খেলার জায়গা। চাইলে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস প্রভৃতি খেলতে পারেন দর্শনার্থী। পুকুরে নৌকায় চড়ে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। মাছ ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। রাতে সংগীতানুষ্ঠান ও বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করতে পারেন দর্শনার্থীরা। অর্থাৎ ছুটি উপভোগ্য করে তোলার সব আয়োজন বিদ্যমান নক্ষত্রবাড়িতে।

যাবেন যেভাবে
রাজধানী থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে পারেন। গাজীপুরগামী পরিবহনে চড়ে যাওয়া যায়। গাজীপুরে গিয়ে
ঢাকা-কাপাসিয়া মহাসড়কের রাজাবাড়ি বাজারে নামতে হবে। রাজবাড়ি থেকে নক্ষত্রবাড়ির অবস্থান দেড় কিলোমিটার দূরে চিনাসুখানিয়া গ্রামে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০