নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩০ জুন ২০২০ হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৭৯ পয়সা। এর আগের বছর ইপিএস ছিল ২৯ টাকা সাত পয়সা। আলোচিত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৫৭ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এ বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮০ টাকা ৯১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বেলা ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জানুয়ারি ২০২১।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর এক দশমিক ৫০ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২০৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০৪ টাকা। দিনজুড়ে ৬৪ হাজার ৬২২টি শেয়ার মোট ৪২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৫৫ টাকা থেকে ২৩১ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩০৫ কোটি চার লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা, যা তার আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে ৩৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং ১২৬ টাকা ৭৮ পয়সা।
কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে দুই দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, সরকারি ৫০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।