Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 2:09 pm

নগদ লভ্যাংশ দেবে এপেক্স ট্যানারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। একইসঙ্গে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ চামড়া বিক্রির জন্য তিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৯ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ অক্টোবর।

এদিকে এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড, ফুটবেড ফুটওয়্যার লিমটেড ও নুভো সুজ (বিডি) লিমিটেডের কাছে কোম্পানিটি চামড়া বিক্রির চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রেড এবং মানের দামের ভিত্তিতে এপেক্স ট্যানারির ফিনিশড লেদার বিক্রি করবে। এটি বিক্রির মাধ্যমে এফবি ফুটওয়্যার, ফুটবেড ফুটওয়্যার এবং নুভো নুজ (বিডি) লিমিটেডের কাছে বছরে বিক্রি হবে যথাক্রমে প্রায় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, তিন কোটি ২৫ লাখ এবং এক কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার। তবে এটি বাজারে পণ্যের চাহিদার ওপর নির্ভর করে পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।

গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ২ টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১০৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০৮ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন ৬১ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৫৬ হাজার ৯৯১টি শেয়ার মোট ৩২১ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৯০ টাকা থেকে ১২৭ টাকায় ওঠানামা করে।

এর আগে ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল এক টাকা ৪১ পয়সা, আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছিল ৬৯ টাকা ২১ পয়সা।

১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার।