নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ষোষণা দিয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স। আলোচিত এই হিসাববছরে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা। গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫৬ পয়সায়, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ২৫ টাকা ৮১ পয়সা। এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী আগামী ২৬ জুন বেলা ১১টায় হাইব্রিড সিস্টেমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ মে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা তিন পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে চার টাকা ২০ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট চার কোটি ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৬ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং বাকি ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর এক দশমিক ৩৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫১ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের মোট ৫৮ হাজার ১১৩টি শেয়ার মাত্র ২৮৮ বার হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।