নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩৫০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ টাকা ৭৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭৯ টাকা ৩০ পয়সায়। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৭৭ টাকা ৮৬ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৫৬ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়িত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সায়, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ৩৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪২ টাকা ১৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ টাকা ১৬ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২৩১ টাকা ৩৪ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯১ পয়সা (ঘাটতি)।
২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১০ হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মোট ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।