নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বস্ত্র খাতের কোম্পানি কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, কোম্পানিটির ঘোষিত মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশের মধ্যে ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ জুন তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৪ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলসের পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত) ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা। ৩০ জুন তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩১ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা পাঁচ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি তাদের অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছিল ১৫২ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ২৬ লাখ ১ হাজার ৪৩৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৫৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার।
কারখানা আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবেশন এবং আধুনিক লবণ পুনরুদ্ধার পদ্ধতি (অটো ডিসপেনসিং অ্যান্ড মর্ডানাইজড সল্ট রিকভারি সিস্টেম) প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
গত ২২ ডিসেম্বর বেলা ১০টায় অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। আর নতুন এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে রং, কেমিক্যাল ও পানির ব্যবহার কমে যাবে। এর ফলে প্রতি মাসে কোম্পানিটির এক কোটি ১০ লাখ টাকার ব্যয় কমবে, যা কিনা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।