নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঘোষিত এই নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের হিসাব নাম্বারে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পরিচালক ব্যতীত অন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পরিচালকদের ব্যতীত অন্য সব বিনিয়োগকারীর জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পরিচালকদের ব্যতীত অন্য সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয় ৮২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছিল ২১ টাকা ৮৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছিল দুই টাকা ৪৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ৩৮ লাখ সাত হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৩ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই- ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস কমেছে ২১ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৪ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৮২ পয়সা ছিল।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৭টি শেয়ার মোট ২৮০ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর ২০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।