Print Date & Time : 29 June 2025 Sunday 10:03 am

নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরে ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমারজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪১৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

গতকাল শেয়ারদর দুই দশমিক ৯১ শতাংশ বা চার টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫৭ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৫২ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার মোট ৮০৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ছয় লাখ ৮৯ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৪ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৪৪ টাকা ২০ থেকে ১৯৭ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৯২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৯ হাজার ১৬৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে চার দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।  এ সময় ইপিএস ছিল ১৫ টাকা ৫৭ পয়সা এবং এনএভি ৩৪ টাকা ২২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৫৬০ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ১২ পয়সা বেড়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪৪ টাকা ১৭ পয়সা, এটি একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪১ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০৭ কোটি দুই লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৫ পয়সা। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল পাঁচ টাকা ২৮ পয়সা। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪৩ টাকা এক পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩৭ টাকা ৪৭ পয়সা।