নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে নাভানা সিএনজি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৫ মাসের জন্য কোম্পানি ঘোষিত ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৫ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৫৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩০ টাকা ১৯ পয়সা; আগের বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৪৬ পয়সা ও ২৮ টাকা ১৪ পয়সা। ওই সময় কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৪ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি) লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএ৩’ হয়েছে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত ব্যাংকের দেওয়া তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৭৮ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে তিন পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৮ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ এনএভি বেড়েছে ৭৮ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৬৫ টাকা থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ওইদিন কোম্পানির ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৬০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ৯৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৮ টাকায় ওঠানামা করে।
কোম্পানির মোট ছয় কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৯২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।
Add Comment