নগদ সহায়তা বৃদ্ধিতে বাড়ছে রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলিত বছর ১ জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্স প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এক মাসের ব্যবধানে সাত কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। নতুন বছর প্রথম মাসে ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এক মাস আগে অর্থাৎ সদ্যবিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১৬৩ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সরকার রেমিট্যান্সপ্রবাহে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করেছে। তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই সূচকে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়ায় ওই সব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বরে কিছুটা বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। নতুন বছরেও সেই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে। রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে দুই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এতদিন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যার নামে পাঠাতেন তিনি ১০২ টাকা পেতেন। এখন পাচ্ছেন ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত রেমিট্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা (এক ডলার = ৮৬ টাকা ধরে)। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩০ কোটি ২০ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক হাজার ৩৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৪০ লাখ ডলার।

সব মিলিয়ে ২০২১ সালে দুই হাজার ২০৭ কোটি (২২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল বাংলাদেশ, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালে, ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে এসেছিল ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এক হাজার ২৩ কোটি (১০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল এক হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার, বা ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০