নতুন অ্যাকর্ড নিয়ে আগে কিছু জানানো হয়নি : বিজিএমইএ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুরোনো বাংলাদেশ অ্যাকর্ডের ধারাবাহিকতায় ‘আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড’ নামে নতুন চুক্তির খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আগে ‘কোনো যোগাযোগ না করেই’ বিদেশি রিটেইল কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মধ্যে নতুন ওই চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ।

ফারুক বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কিছু করতে চাইলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু বাংলাদেশে এই অ্যাকর্ডের কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। এখানে মালিক-শ্রমিক, ক্রেতা-ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল বা আরএসসি সংস্কারকাজ চালিয়ে নিচ্ছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘গতকাল তারা রয়টার্সে খবর প্রকাশের পর আমাদের ই-মেইল করেছিল। আমরা প্রথমেই যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, তা হচ্ছে, তোমরা আমাদের এ বিষয়ে কিছুই জানাওনি। আমরা জানতে চাই এটা কী? তখন তারা বলেছে যে, ‘এটা তোমাদের সঙ্গে কিছুই না, আমাদের মধ্যে একটা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। এটার সঙ্গে তোমাদের কিছুই না।’

তিনি বলেন, ‘তবুও ব্র্যান্ড এবং শ্রমিক ইউনিয়নরা কিছু করতে হলে তো গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেই করতে হবে। শরীরটা তো আমাদের। আমার এখানে কোনো অপারেশন করতে হলে, কোনো উদ্যোগ নিতে হলে সেটা তো আমাকে জানতে হবে।’

আগের সেই অ্যাকর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের অ্যাকর্ডে যে আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলো সই করেছিল, তারা নতুন চুক্তিতেও রয়েছে। প্রায় ২০০ রিটেইলার ২০১৩ সালের অ্যাকর্ডে সই করেছিল, যার মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম, ইনডিটেক্স,  ইউনিক্ল, হুগো, বস আর অ্যাডিডাসের মতো বড় কোম্পানিও ছিল। নতুন চুক্তিতে কারা রয়েছে সেই তালিকা ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে।

নতুন অ্যাকর্ডের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘তাদের (শ্রমিক ইউনিয়ন ও ব্র্যান্ড) মধ্যে আন্ডারস্টান্ডিং। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য অ্যামস্টার্ডামভিত্তিক যে অ্যাকর্ডটা ছিল সে রকম কিছু নয়। বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অন্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পারছি। আগের অ্যাকর্ড বন্ধ হয়ে নতুন করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটা শুরু হবে। অ্যাকর্ড থেকে আরএসসিতে আসার সময় কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন অন্যান্য ব্র্যান্ডকেও এর সঙ্গে আমরা যুক্ত করতে চাচ্ছি। বাংলাদেশর সবগুলো গার্মেন্ট কারখানা, ক্রেতা ও ব্র্যান্ড যেন এর সঙ্গে যুক্ত হয়, সেটা দেখা হচ্ছে। আমাদের ক্যাপাসিটি আগামী দিনে আরও বাড়ানো হবে। আরএসসির কাজ হবে ফায়ার, ইলেক্ট্রিকাল এবং স্ট্রাকচারাল সেফটি নিশ্চিত করা এবং এটা নিয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া।’

বাংলাদেশে কারখানাগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন কতটা সন্তোষজনক এই প্রশ্নে ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে যে স্ট্যান্ডার্ডটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, এটা আসলে বিশ্বের টপ স্ট্যান্ডার্ড। আমরা এই প্রক্রিয়া নিয়ে সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট। আরএসসির আন্ডারে যেসব কারখানায় কাজ হচ্ছে, সেখানে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশের বেশি কারখানায় সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। এর বাইরে আরও যেসব ফ্যাক্টরি রয়েছে, তাদের এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০