নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৯ সালে দেশে নতুন করে এইডস আক্রান্ত ৯১৯ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১০৫ জন। দেশে বিবাহিতদের মধ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা বেশি, ৫৮৭ জন। এ ছাড়া ১৭৫ জন সিঙ্গেল, ১৭ জন ডিভোর্স, ১০ জন বিধবা ও চারজন ভিন্নমতের। নতুন আক্রান্তদের ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৩৪২ জন। ২০১৯ সালে দেশে ২৭ হাজার ১৬৮ জন সাধারণ মানুষের এইডস টেস্টিং ও ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ পুরুষ, ২৫ শতাংশ নারী ও এক শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি। নতুন আক্রান্তদের ৬০৫ জন অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ৪২ শতাংশ এই বয়সী। দেশে আনুমানিক এইডস রোগী ১৪ হাজার।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বে প্রায় চার কোটি এইডস রোগী রয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগীর হার দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ওষুধ দেওয়ার যে কাভারেজ, তাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। বিশ্বে ৫০ শতাংশ ওষুধের কাভারেজ রয়েছে।