নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা করছে না সরকার। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক যে এনগেজমেন্ট সেটা অব্যাহত আছে। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে হয়তো কারও কারও আগ্রহ বেশি। বাড়তি আগ্রহের কারণে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত।
তিনি বলেন, তারা আশা করছিল ৯-১০ ডিসেম্বর আরেকটি নিষেধাজ্ঞা আসবে। ওই তারিখে তারা একটি জনসভা ডেকেছিল। তারা যে কতটা লবিস্ট ও প্রোপাগান্ডা মেশিনের ওপর নির্ভরশীল, এটাই তার প্রমাণ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, কোথাও রাজনীতি করতে হলে জনগণের সমর্থন নিয়ে আসতে হবে, বিদেশি কারও সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি হয়নি, কোনোদিন হবেও না। সাময়িকভাবে হয়তো কেউ সুবিধা পেয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, বিশেষ করে এক-এগারো-পরবর্তী ঘটনাগুলো এর প্রমাণ; কিন্তু সেটাও স্থায়ী হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের প্রথম ইচ্ছা থাকবে সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, আরও গভীর করা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর গত বছর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
‘একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কোনো কারণে চলতি বছরও সরকারি সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছে সরকার’Ñএমন বক্তব্য-সংবলিত একটি চিঠি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের পাঠানো হয় অতি সম্প্রতি। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার মতো ঘটনা এড়াতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, পররাষ্ট্র সচিব একটা চিঠি দিয়েছেন। আমি সেই চিঠি পড়িনি। চিঠিতে কিছু কনটেন্ট থাকতে পারে।