প্রতিনিধি, বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের থানচি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে ৫ জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব। আটক জঙ্গিরা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সদস্য।
র্যাব জানায়, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে প্রায় তিন মাস ধরে র্যাব সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সস্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ আস্তানা থেকে ৫ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। আটক জঙ্গিরা হলেনÑনোয়াখালী জেলার নিজাম উদ্দিন হিরন ওরপে ইউসুফ (৩০), কুমিল্লা জেলার সালেহ আহমেদ ওরপে সাইহা (২৭), মো. বাইজিদ ইসলাম ওরপে মুয়াজ (২১), ইমরান বিন রহমান শিতিল (১৭) এবং সিলেট জেলার সাদিকুর রহমান সুমন ওরপে বাইরু (২১)।
আটক জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সদস্য। বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে প্রেস কনফারেন্সে র?্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘরছাড়া ৫৫ জন যুবকই পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সস্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) প্রশিক্ষণ আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাদের মধ্যে বুধবার অভিযানে রোয়াংছড়ি থেকে ২ জন এবং থানচি থেকে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। এ সময় আরও কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় চলমান অভিযানে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেয়া ১২ জন জঙ্গি এবং কেএনএফের ১৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৭ জন জঙ্গি, দ্বিতীয় দফায় ৫ জন জঙ্গি এবং প্রথম দফায় কেএনএফের ৩ জন ও দ্বিতীয় দফায় ১১ জনকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। আটক জঙ্গিদের আগের পুরোনো মামলায় রাঙামাটি থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গি এবং তাদের আশ্রয় প্রশিক্ষণ দেয়া কেএনএফের বিরুদ্ধে র্যাবের এই অভিযান। পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় মানুষের নিরাপত্তায় এবং অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া বন্ধে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে পাহাড়ে আটক সন্ত্রাসীদের দাবি। পাহাড়ে চলমান অভিযান কবে নাগাদ শেষ হবে বলা মুশকিল বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।