Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 4:13 am

নতুন দল বিএসপিকে নিবন্ধন না দেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নিবন্ধন না দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপত্তি জানিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যানের ভাই শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। পাশাপাশি তিনি পারিবারিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। এ সময় তার কয়েকশ ভক্ত-আশেকান উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, পারিবারিক বসবাসের জায়গা জবরদখলে নিয়ে বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বানানো হয়েছে। শুধু কেন্দ্রীয় দপ্তর নয়, পারিবারিক অন্যান্য সম্পত্তিও দখল করেছেন বিএসপি প্রধান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। এজন্য তার রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। পাশাপাশি দেশের মধ্যে থাকা মাইজভাণ্ডার খানকা শরিফকে দলীয় কার্যালয় করা হয়েছে।

এ অবস্থায় পারিবারিক সম্পত্তি ফিরে পেতে ও বিএসপিকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, বিএসপিকে নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে ইসিকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আমাদের অভিযোগ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিক সম্পত্তি এবং মাইজভাণ্ডার খানকা শরিফকে কার্যালয় দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি যেটা দেখানো হয়েছে, সেখানে আমরা আমাদের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করি।

তাছাড়া পারিবারিক সম্পত্তিগুলো নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান, এ অবস্থা তিনি সব সম্পত্তি দখল করতে চাইছেন। আমরা দুই ভাই দুই বোন, তিনি আমার এবং ছোট দুই বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যই নির্বাচনী কার্যালয় আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর দেখিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ইসিকে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আমরা বিএসপিকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য ইসির কাছে অনুরোধ জানাই। এর আগে একই দিন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে সহিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএসপির প্রধান একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, জালিম। এ ঠকবাজ লোক কীভাবে জাতীয় নির্বাচন করবে। যার কাছে পরিবার-পরিজন নিরাপদ নয়, তিনি কীভাবে দলের নিবন্ধন পেতে পারেন। যিনি আমার বাবা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ মাইজভাণ্ডারীর কাছ থেকে সমুদয় সম্পত্তি জুলুম করে, প্রতারণার মাধ্যমে, হেবা দলিলের মাধ্যমে, ভুয়া কাগজপত্রে দখলে নিয়েছেন। বাবার সমুদয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আমাদের পৈতৃক ও মাতৃক সম্পত্তির কোনো হিস্যা দেননি। একজন সন্ত্রাসী একটা পার্টির নেতৃত্ব দিলে আমাদের পরিবার আরও নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে।’