শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মোকাবিলায় মানুষের সতর্কতা কমে যাওয়ায় এ ভাইরাসের মারাত্মক নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন তৈরি হতে পারে। গত শুক্রবার এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর: রয়টার্স।
নতুন ধরন নিয়ে কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসুস। গত সেপ্টেম্বরে করোনার শেষ দেখা যাচ্ছে বলে আশাবাদের কথা জানিয়েছিলেন গেব্রিয়াসুস। কিন্তু এর কয়েক মাসের মধ্যে তার কণ্ঠে আবার পরিবর্তন দেখা গেল। মহামারির জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন এটি বলার জন্য অনেক কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছি। তবে মহামারি শেষ হয়ে গেছে, এখনই এমনটা বলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, চলতি বছর কভিড মোকাবিলা কৌশলের ত্রুটিগুলো একটি মারাত্মক নতুন ধরনের উদ্ভবের পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি চীনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশটির কিছু অঞ্চল সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়াসুস বলেন, মহামারির জরুরি অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণের পর্যায়ে রয়েছি, কিন্তু এখনও আমরা তাতে সফল হইনি। করোনা টেস্ট ও টিকাদান কর্মসূচিতে বিরতি বা ধীরগতি এ ভাইরাসটির নতুন ধরনের আগমনের পরিবেশ তৈরি করছে এবং নতুন কোনো ধরনের আগমন যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে সেটি আরও মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে চীনে। এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ডব্লিউএইচও।
চীনের পাশাপাশি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কিছু অংশেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে ৬০ বছরের অধিক বয়সী এমন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকাদানের প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। মহামারির আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও করোনায় বিশ্বে অব্যাহত রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। তবে মহামারির প্রথম দুই বছরের তুলনায় চলতি বছর কমে এসেছে আক্রান্ত রোগী ও প্রাণহানির হার।