শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর আইনে করপোরেট ট্যাক্স কম হওয়ায় করপোরেট মুনাফা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এতে দেশটির অর্থনীতি ভালো অবস্থানেই থাকবে। ফলে মার্কিন পুঁজিবাজার চলতি বছরেও গত বছরের মতো চাঙা থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর বিবিসি।
মার্কিন পুঁজিবাজারের অন্যতম সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সদ্য বিদায়ী বছরে ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৩ সালের পর এটিই ছিল সূচকটির সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি। আগামী মার্চে এ সূচকটির ৯ বছর পূর্ণ হবে।
নতুন কর আইনে করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ কার্যকর হবে। চলতি ২০১৮ সালেও গত বছরের মতো মার্কিন পুঁজিবাজারে তেজিভাব বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ প্রবৃদ্ধি গত বছরের চেয়ে ছোট হবে।
কেউ কেউ বলছে, কর হ্রাসে প্রভাব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। জেপি মরগান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কৌশলগত বিশ্লেষক ডেভিট কেলি বলেন, কর হ্রাস খরচ কমাবে কিন্তু তাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না। তাই এর ইতিবাচক প্রভাব স্থায়ী নাও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের করব্যবস্থায় বড় সংস্কার হতে যাচ্ছে। এ বিলের মাধ্যমে তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি সিনেটে নতুন কর বিলটি পাস হয়। নতুন ব্যবস্থায় করপোরেট, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কর কমানোয় অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠবে বলে দাবি করেছে রিপাবলিকানরা। তবে এটা শুধু উচ্চবিত্তদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ঘাটতি বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন ডেমোক্র্যাটরা।
বিলটি পাস হলে এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বড় বিজয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব প্রস্তাবিত ২০ শতাংশের চেয়ে করপোরেট কর এক শতাংশ বেশি বাড়বে। তবে তা বর্তমানের ৩৫ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। দেশটির করপোরেট খাত অনেক বছর ধরেই করহার হ্রাসের দাবি জানিয়ে আসছিল। এছাড়া সম্পদশালীদের আয়ের ওপর নির্ধারিত সর্বোচ্চ করহারও কমিয়ে আনা হবে। সম্পদশালীদের আয় আয়কর হার ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে সম্মতি দিয়েছেন কংগ্রেস রিপাবলিকানরা।
কর ব্যবস্থাবিষয়ক নির্দলীয় যৌথ কমিটি সতর্ক করে বলেছিল, এ উদ্যোগের ফলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ ঋণ এক লাখ ৪০ হাজার কোটি থেকে ২০ লাখ কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলে দেশটিতে ধনী-গরিবের ব্যবধান আরও বাড়বে।
