নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নতুন মেশিনারিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলারের নতুন মেশিনারিজ কিনবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ক্রেতাদের পছন্দ এবং চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসার সম্প্রসারণ তথা কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থার্মোসল ডায়িং, সলিড ডায়িং, কনটিনিয়াস ওয়াশিং এবং ব্লিচিং ইউনিট মেশিন কিনবে। এলসির মাধ্যমে এ মেশিন দুটি কিনতে খরচ পড়বে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার। আর এ মেশিনারিজ কিনতে কোম্পানিটি পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ ও ৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা চার পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে (হাউস-১৯, রোড-৭, গুলশান-১) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭৫ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২২ টাকা ১৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ছয় পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৩৪ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪০টি শেয়ার মোট ৪৫৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর এক দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৪ টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা।