নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আজিজ পাইপসের কারখানায় স্থাপিত নতুন মেশিনে গতকাল পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি আজিজ পাইপস ভারত থেকে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন উৎপাদন লাইন কিনেছে। এর ফলে কোম্পানিটির পিভিসি পাইপ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব পড়বে কোম্পানির মুনাফায়। কোম্পানিকে নতুন লাইন কিনতে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত মে মাসের শেষ থেকে শেয়ারটির দর ক্রমাগত বাড়ছে। গত ২৮ মে শেয়ারটির দর ছিল ১২৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর গতকাল সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৫৮ টাকা ৯০ পয়সায়। প্রায় দেড় মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৩০ টাকার বেশি। এ কারণে ডিএসই তিনবার কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো মূল্য সংবেদনশীল কারণ জানাতে পারেনি। গতকাল লেনদেন শেষে শেয়ারটির সবশেষ দর দাঁড়ায় ২৫৪ টাকা ৯০ পয়সা আর সমাপনি দর ছিল ২৫৪ টাকা ৬০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৪টি শেয়ার দুই হাজার ১২২ বার হাতবদল হয়। যার মোট বাজারমূল্য সাত কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। গতকাল শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা চার দশমিক ৭৮ শতাংশ। দিনভর শেয়ারদর ২৪২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৫৯ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বোনিš§ ৯৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৮৫ টাকার মধ্যে উঠানামা করে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে কোম্পানিটি ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়। ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৫৭ পয়সা। এ সময় শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৭১ পয়সা ঋণাত্মক ছিল। আগের বছর একই সময় ইপিএস দুই টাকা ৩৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৫৪ টাকা ২৭ পয়সা ঋণাত্মক ছিল।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ ’১৮) শেষে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল শূন্য ছয় পয়সা। অন্যদিকে (জুলাই ’১৭-মার্চ ’১৮) ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ৬১ পয়সা। যা আগের হিসাববছরের একই সময় ছিল ৩৭ পয়সা। কোম্পানির সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩১৩ দশমিক শূন্য তিন। সবশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পিই রেশিও ৪৪৬ দশমিক ৬৭। মূল্য আয় অনুপাত অনুসারে এ শেয়ারটির দর বর্তমানে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা পাঁচ কোটি ৯২ লাখ ৫০০টি। রিজার্ভে লোকসান আছে ৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, চার দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
নতুন মেশিনে উৎপাদন শুরু আজিজ পাইপসের
