শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিনল্যান্ড সরকার সীমান্তে অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ ঠেকাতে একটি নতুন আইনের প্রস্তাব করেছে। এই আইনের মাধ্যমে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সরিয়ে দিতে পারবে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি দেশটির অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এজন্য রাশিয়াকে দুষছে হেলসিঙ্কি।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটারি অরপো বলেছেন, এ ব্যাপারে একটি বৈধ আইনের প্রয়োজন। কারণ গত শরতে প্রায় এক হাজার অভিবাসী রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করেছে।
মস্কোকে দায়ী করে হেলসিঙ্কি বলছে, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাড়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার হাত রয়েছে। যদিও ক্রেমলিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ার পর গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নরডিক দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
গত এপ্রিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে সীমান্ত বন্ধের সময়সীমা কয়েকবার বাড়ানো হয়।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা ও অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে ফিনল্যান্ড নিরাপত্তা জোরদার করতে রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তে ২০০ কিলোমিটার বেড়া নির্মাণ শুরু করে। দেশটির বর্ডার গার্ড জানায়, এই বেড়া তিন মিটার (১০ ফুট) লম্বা হবে এবং এর ওপরে কাঁটাতার থাকবে। বেড়ার কিছু অংশে থাকবে নাইট ভিশন ক্যামেরা ও লাউডস্পিকার, এছাড়া থাকবে আলোর ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘতম সীমান্ত রয়েছে ফিনল্যান্ডের। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার (৮৩২ মাইল)। বর্তমানে রাশিয়া সীমান্তে ফিনল্যান্ডের সীমানাগুলো প্রাথমিকভাবে হালকা কাঠের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধের ইতিহাসও আছে। ফিনল্যান্ড সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আশ্রয়প্রার্থীরা কেবল নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রবেশের আবেদন করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইন অনুযায়ী অভিবাসীদের যেকোনো ইইউ সদস্য দেশের দেয়া প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করে আশ্রয় চাওয়ার অধিকার রয়েছে।
শক্ত বেড়া নির্মাণের অনুমতি দিতে ফিনল্যান্ড ২০২২ সালের জুলাইয়ে বর্ডার গার্ড আইনে নতুন সংশোধনী পাস করেছে। বর্তমানে যে কাঠের বেড়া আছে, সেটি মূলত গবাদিপশু যাতে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সেজন্য তৈরি করা রয়েছে।