নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দখলদারদের কাছ থেকে নদী উদ্ধার করতে জেলায় জেলায় কোন ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে এবং তার জন্য কত টাকা লাগবে, সেই তথ্য ডিসিদের কাছ থেকে নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মন্ত্রণালয়কে বলেছে, নদী উদ্ধার করতে যে ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে তার জন্য কত টাকা দরকার সে তথ্য যেন ডিসিদের কাছ থেকে নেয়া হয়। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে নদী উদ্ধার করতে যে ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে তার সবকিছু সংগ্রহ করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
বৈঠকে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে বলা হয়, অনেক দখলদার নদীতীরের বড় অংশের জমি দখল করে রয়েছে। সেসব অপসারণ করতে যেসব যন্ত্রপাতি লাগে তার সবকিছু সব জায়গায় নেই। সেগুলো না থাকায় উচ্ছেদ কাজে দেরি হয়। সে জন্য কমিটি মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বলেছে।
গত নভেম্বরে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদা মাহমুদ চৌধুরী সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে জানান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব ডিসির মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করেছে। এতে সারাদেশে ৬৫ হাজার ১২৭ জন অবৈধ নদী দখলদার রয়েছে। এ জন্য সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৯ হাজার ৮৭৪ জন অবৈধ নদী দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নদী দখল উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কেনাকাটার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিসিদের মন্ত্রণালয়ে বাজেট উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রণজিত কুমার রায়, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এসএম শাহজাদা অংশ নেন।
