Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 2:17 pm

‘নদী-ভূমির মতো ব্যাংক দখল হচ্ছে’

শেয়ার বিজ: ‘নদী ও ভূমি দখলের মতো দেশে ব্যাংক দখল হচ্ছে। এরপরও এসব দখলদারিত্বের কোনও বিচার হচ্ছে না। এ কারণেই সমাজে অসমতা তৈরি হচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে’- উল্লেখ করে ব্যাংক দখলকে নদী দখলের সঙ্গে তুলনা করেছেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ।

রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম সেশনে সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী  বলেন, ‘আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য। ইতোমধ্যেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও  ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলদেশ ব্যাংক আরও গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে।  এজন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

দ্বিতীয় দিনের সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম এর চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ‘অবৈধ লেনদেনগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট কাজ শুরু করেছে। এ ধরনের অবৈধ লেনদেন খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অন্তর্ভুক্তিমুলক ব্যাংকিংয়ের বড় বাধা হচ্ছে এসব অবৈধ লেনদেন। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের আর্থিক লেনদেনের অনুমোদন না থাকায় এ আবেদনে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক ফোন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোবাইল কোম্পানিগুলোর আবেদন প্রত্যাখ্যান ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না।’

সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী অংশ নেন।