শোবিজ ডেস্ক: নারীকেন্দ্রিক কাহিনি। প্রধান চরিত্রের নাম বিপাশা। সত্তরের দশক থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত গল্পের পরিধি। নকশাল আন্দোলন থেকে বামদের সরকার গঠনের রেফারেন্স থাকবে ছবিতে। বিপাশা বিদুষী মহিলা। জড়িয়ে পড়ে নকশাল আন্দোলনে। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়েও যায়। ঠিকানা হয় ইংল্যান্ড। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ আবার প্রেমÑ ঘুরে ফিরে আসে তার জীবনে। লেখক তার নারী চরিত্রকে বেশ অন্য রকম ছাঁচে গড়েছেন। যে কোথাও থিতু হতে পারে না।
ছবির গল্পও অতীত থেকে বর্তমানে ছুটে বেড়ায়। বিপাশা বাংলায় লিখতে চায়। শিকড়ের টানে কলকাতায় চলে আসে। যেখানে তার জীবন আবার বাঁক নেয়।
নবনীতা দেবসেনের এমন গল্প থেকে সিনেমা নির্মাণ করবেন পরিচালক অরিন্দম দে। অরিন্দম বললেন, ‘গল্পের মধ্যে একটা গতি রয়েছে, সেটাই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। নারী চরিত্রগুলো খুব জোরালো।’ এখানে মা-মেয়ের সম্পর্কেরও একটা দিক আছে। বিপাশার সঙ্গে তার মেয়ে
রোহিনীর কোথাও দ্বন্দ্ব চলে। কোথাও তারা আবার ভীষণ কাছাকাছি।
বিপাশা চরিত্রটার প্রতি আকৃষ্ট হয়েই ছবিটা বেছে নিয়েছেন ঋতুপর্ণা। ‘নবনীতাদি ভীষণ ইন্টারেস্টিং স্টাইলে গল্পটা বলেছেন, সেটাই আমাদের ছবির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ’, বললেন ঋতুপর্ণা।
অরিন্দম জানান, বাংলা সাহিত্যের সেই সময়ের দিকপালদের কথাও আসবে। সাগরময় ঘোষ, রমাপদ চৌধুরী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের রেফারেন্স রয়েছে ছবিতে। এখনকার অভিনেতাদের দিয়েই চরিত্রগুলো সাজাবেন বলে ভেবেছেন পরিচালক। শঙ্কর চক্রবর্তীকে দিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রটা করানোর ইচ্ছে রয়েছে অরিন্দমের, সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও একটি বিশেষ চরিত্রে নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে পরিচালকের।
নবনীতার লেখা গল্প থেকে এটাই প্রথম ছবি তৈরি হচ্ছে। অরিন্দম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তারই ছাত্র ছিলেন। বললেন, ‘আমার ছাত্র আমার গল্প থেকে ছবি করতে চাইছে, তাই রাজি হয়ে গেলাম। এর আগে তো কেউ কখনও আগ্রহ দেখায়নি। দেখালে হয়তো রাজি হতাম।’
নবনীতার আস্থা রয়েছে ঋতুপর্ণার ওপর। সেটা শুনে নায়িকা বললেন, ‘এত ভালো একটা চরিত্র দেওয়ার জন্য তার কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। নবনীতাদির গল্প থেকে এটাই প্রথম ছবি। আশা করছি, আমাদের এ পদক্ষেপ সফল হবে।’
লন্ডন, কলকাতা জুড়ে ছবির শুটিং হবে। সুন্দরবনের একটি অংশও ছবির গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুটিংয়ের পরিকল্পনা নির্মাতাদের।