প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালটিতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র অল্প কজন চিকিৎসক। আর এতে প্রকৃত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকেও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। এমনই অভিযোগ নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের।
অবশ্য আর্থিকভাবে সচ্ছলরা চিকিৎসা না পেয়ে রোগী নিয়ে অনত্র চলে যেতে পারলেও গরিব-অসহায় রোগীরা চিকিৎসক না পেয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য আসেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকেন প্রায় শতাধিক রোগী। অধিকসংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসকের আরও বেশকিছু পদ রয়েছে। যার মধ্যে অনেক পদই শূন্য।
রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
ডাক্তার না পেয়ে অনেকেই তাদের রোগী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যাও কম। ডাক্তার সংকট থাকায় রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসার মানোন্নয়নে হাসপাতালের সব বিভাগে ডাক্তার নিয়োগের জন্য তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, নোংরা পরিবেশ ও বেড সংকটের কারণে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রশ্নবিদ্ধ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা নামে মাত্র সরকারি হাসপাতাল। এ হাসপাতালে কর্মরত সেবিকাদের ব্যবহার খুবই খারাপ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কুমার বলেন, জনবল সংকটের কারণে খুব সমস্যায় আছি। বিশেষ করে চিকিৎসক সংকটে সমস্যা বেশি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইনডোর-আউটডোরে রোগীর চাপ অনেক বেশি। দ্রুত হাসপাতালটিতে জনবল নিয়োগ না দিলে চরম বিপাকে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।