শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প উপায় হিসেবে সৌরশক্তি ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এতে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকছে, অন্যদিকে তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর গার্ডিয়ান, রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী সৌরশক্তির উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। বিশেষ করে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সোলার ফটোভল্টিংক (পিভি) ক্ষমতা বাড়ানোর ফলে নবায়নযোগ্য শক্তির বিপ্লব ঘটছে। আইইএ নবায়নযোগ্য শক্তির এ বিপ্লবকে সৌরশক্তির ‘নতুন ইরা’ তথা নতুন যুগ বলে আখ্যায়িত করছে। আইইএ গত মঙ্গলবার তাদের মধ্যবর্তী পূর্বাভাসে জানায়, বিশ্বব্যাপী সোলার পিভি ও বায়ুবিদ্যুৎ এবং স্বল্প কার্বন নির্গমন নীতির ফলে ২০২২ সালের মধ্যে বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ক্ষমতা ৪৩ শতাংশ বেড়ে ৯২০ গিগাওয়াটের বেশি বাড়বে।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি জানায়, গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রত্যাশার তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন হয়েছে। অন্য যেকোনো মাধ্যম থেকে এর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি। এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড। সোলার পিভি ক্ষমতা ৫০ শতাংশ বেড়েছে, যা নিট কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে আশ্চর্যজনকভাবে বেশি।
আইইএ’র প্রধান নির্বাহী ফাতিহ বীরোল এক বিবৃতিতে বলেন, পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২২ সাল নাগাদ আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন এক হাজার মেগাওয়াটে দেখতে চাই, যা বর্তমান বৈশ্বিক কয়লাবিদ্যুতের অর্ধেকের সমান হবে।
ফাতিহ বীরোল আরও যোগ করেন, ২০২২ সালের মধ্যে যে পর্যায়ে পৌঁছাবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন, তা একটি ‘নবযুগের’ সূচনা করবে। প্যারিসভিক্তিক ২৯ জাতির এ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি মনে করে, বিগত বছরগুলোতে পরিবেশবাদী ক্যাম্পেইনারদের প্রচারণার ফলে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বাড়ছে।
সংস্থাটি মনে করছে, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ২০২২ সালের মধ্যে ২০১৬ সালের ছয় হাজার ১২ টেরাওয়াট আওয়ার থেকে বেড়ে আট হাজার ১৬৯ টেরাওয়াট আওয়ারে পৌঁছাবে, যা ভারত, চীন ও জার্মানির মোট বিদ্যুৎব্যয়ের সমান।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিশ্বব্যাপী সোলার প্যানেলের প্রায় অর্ধেক রয়েছে চীনের দখলে।
Add Comment