নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরসিআরইউ) নতুন সহযোগী সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজশাহী কলেজের হাজী মোহাম্মদ মহসীন ভবনের গ্যালারিতে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরসিআরইউ’র সভাপতি মাহাবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. আব্দুল খালেক। নবীনদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বলেন, সাংবাদিকতা চর্চার বিষয়। আজকের এই নবীনেরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সুসাংবাদিকতার চর্চা করবে। সুন্দর ও সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমের সমাজের সত্যটাকে তুলে ধরবে। নবীনদের মাঝে আমি সেই উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তোমাদের কাজের মাধ্যমে নতুন পরিচয় তৈরি হবে। নিজেকে গঠনের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে, যেন তোমাদের কাজ তোমার বাবা-মা, রাজশাহী কলেজ ও দেশের সম্মানকে আরও উজ্জ্বল করে। তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যোগদানের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. ওলিউর রহমান, সংগঠনের শিক্ষক উপদেষ্টা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজমত আলী রকি, উপদেষ্টা বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তয়বুর রহমান, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আরটিজেএ) সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, রাজশাহী ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, আরসিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি যে কাজ করে যাচ্ছে তা প্রশংসার দাবিদার এবং বিভিন্ন সময় তা প্রশংসিত হয়েছে। এই ইউনিটির ছেলেমেয়েরা রাজশাহীর মূলধারার সাংবাদিকতায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতার যে অশুভ আগ্রাসন তার বিরুদ্ধেও তারা সোচ্চার রয়েছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রেখে সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা রাখেন তিনি।
আরইউজে সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক তার বক্তব্যে বলেন, জাতি গঠনের কারখানা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অঞ্চলের শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী কলেজের অনবদ্য অবদান রয়েছে। এই কলেজে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ না থাকলেও রিপোর্টার্স ইউনিটির মাধ্যমে সাংবাদিক তৈরি হচ্ছে। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে রাজশাহীসহ ভালো জাতীয় গণমাধ্যমে কাজ করছে। রাজশাহীতে অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মূল ধারার সাংবাদিকদের যে আন্দোলন-সংগ্রাম, সেখানেও তারা পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরসিআরইউর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরইউজে সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তয়বুর রহমান বলেন, একাত্তরের রণাঙ্গনে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। একাত্তর পরবর্তীতে সেই স্বাধীনতা রক্ষাসহ সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সাংবাদিকতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রজন্মের যোদ্ধা হিসেবে সুসাংবাদিকতা চর্চার মাধ্যমে এই সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরটিজেএ সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল বলেন, রাজশাহী কলেজের একমাত্র সাংবাদিক সংগঠন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি। সুসাংবাদিকতা চর্চা ও দক্ষ সাংবাদিক তৈরিতে এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধির সকল সুযোগ এ সংগঠনে রয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
আরসিআরইউর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ রনির পরিচালনায় এবং প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক আফসানা মিমির সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইন্দিরা ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসনাত হাকিম, অর্থ সম্পাদক মো. বদরুদ্দোজা, দপ্তর সম্পাদক সেহের আলী দূর্জয়, নির্বাহী সদস্য রিবিকা বালা, সুজন আলীসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অতিথিরা।